নোয়াখালী থেকে মো. ফখর উদ্দিন
নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসন থেকে অশ্বদিয়া ও নেয়াজপুর ইউনিয়নকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাবের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান ও সড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের খসড়া আসন পুনর্বিন্যাসে এই দুই ইউনিয়নকে বাদ দেয়ার প্রেক্ষিতে গত ৬ আগস্ট সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালিত হয়।
অশ্বদিয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে সোনাপুর-কবিরহাট সড়কে হাজারো শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধে অংশ নেন। এক পর্যায়ে নেয়াজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সুধারাম মডেল থানার একটি টিম পৌঁছায় এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দাবি জানানোর আশ্বাস দিলে অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন “অখণ্ড প্রশাসনিক ইউনিট” রক্ষার নীতিমালার কথা বললেও, সদর উপজেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন-অশ্বদিয়া ও নেয়াজপুর—
নোয়াখালী-৪ আসন থেকে বাদ দিয়ে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই প্রস্তাবনা বাতিল করে আগের মতো নোয়াখালী-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত রাখতে না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন তারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সলিম উল্যাহ বাহার হিরণ, সদর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল মোতালেব আপেল, নেয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন আলো, জেলা জাস্টিস ফর জুলাইয়ের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত, অশ্বদিয়া নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা সেলিম, অশ্বদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদ তানসেন, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন সায়েম, যুবদলের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন রিয়েল, ও নোয়াখালী শহর জামায়াত নেতা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। তারা জানান, জনগণের ইচ্ছা উপেক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করা হবে। অবিলম্বে অশ্বদিয়া ও নেয়াজপুর ইউনিয়নকে নোয়াখালী-৪ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তারা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
